ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

ভোলায় নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ মানুষ। জেলার গ্যাস জেলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া ও গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপনসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে ইন্ট্রাকো কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই পাঁচটি গাড়ি আটক করে আন্দোলনকারীরা।
গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালের সামনে ইন্ট্রাকোর গ্যাসভর্তি একটি কাভার্ড ভ্যান আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এরপর আজ শনিবার দিনভর বিক্ষোভ-কর্মসূচি পালনকালে প্রতিষ্ঠানটির আরও চারটি কাভার্ড ভ্যান আটক করে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আগামীকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান, গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা, ইন্ট্রাকো কোম্পানির সাথে কথিত অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ। এই সকল দাবিতে ইতোমধ্যেই মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, ভোলার গ্যাস ভোলার মানুষের ঘরে না দিয়ে ইন্ট্রাকো কোম্পানির মাধ্যমে বোতলজাত করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে ব-দ্বীপ ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভোলা জেলার সমন্বয়ক মো. রহিম বলেন, ‘এখন থেকে আমরা ভোলার গ্যাস আর ইন্ট্রাকো কোম্পানিকে লুট করে নিতে দেব না। আমাদের পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে। ইন্ট্রাকো কোম্পানির সাথে স্বৈর শাসনামলের অবৈধ চুক্তি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, ভোলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। জেলা সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও সেখানে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সংকটে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ভোলার মানুষ। তাই শিগগিরই একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি আন্দোলনকারীদের।