কেরানীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে দুদকের অভিযান

ঢাকার কেরানীগঞ্জে খাদ্য গুদামে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
অভিযান চালিয়ে দুদক কর্তকর্তারা দেখতে পান, কোনো কর্মকর্তা ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে খাদ্য গুদামটি। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে গুদামের নিরাপত্তারক্ষীরা শ্রমিক দিয়ে ট্রাকে চাল লোড-আনলোড করার দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি চাল লোড আনলোডের দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা ঐসব নিরাপত্তারক্ষীদের ‘স্যার’ বলেও সম্বোধন করছেন। এ ছাড়া যে ট্রাকে চাল লোড করা হচ্ছে ডিও লেটারে সে ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলও লক্ষ করা গেছে। তবে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন উপসহকারী পরিচালক উজ্জ্বল কুমার রায় এবং কোর্ট সহকারী (এএসআই) মো আব্দুর রহিম।
দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, সকাল থেকে আমরা উপজেলা খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখানে গিয়ে দেখি কোনো কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই একটি ট্রাকে চাল লোড করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ডিও লেটার চেক করে দেখি আগের দিনেই ডিও লেটার স্বাক্ষর করা এবং ডিও লেটারে যেই ট্রাকের নম্বর উল্লেখ করা আছে বাস্তবের ট্রাকের নম্বরের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ডিও লেটারে কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি, অথচ সেসব ডিওতে ইতোমধ্যে চাল গুদাম থেকে বের হয়ে গেছে। ফলে আমরা ঐসব ডিও লেটারের কপি ও অন্যান্য কিছু কাগজপত্র তলব করেছি। পরবর্তী সময়ে সেসব যাচাই-বাছাই শেষে বলা যাবে আসলে ঘটনা কী ঘটেছে। তবে অভিযানে এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে গুদাম থেকে মালামাল লোড আনলোডে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। এবং এসব কাজ এখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে করানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রানা উল করিম বলেন, খাদ্য গুদামের জন্য আমার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। সে এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।
তবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে লোড-আনলোডের বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, এটা অনিয়ম হয়েছে, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহীম আদম বলেন, আমি আজকে একটি ট্রেনিংয়ে ছিলাম, তবে সকালে আমি নিজে মাল লোড চালু করে দিয়ে গেছি। এ ছাড়া ট্রাক নম্বরটি ভুল হয়েছিল সেটি সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।