দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য সরকার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এ বিষয়ে এখন কাজ চলছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে বলেও জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মামলাগুলো হলো আশুলিয়া লাশ পোড়ানো, চাঁনখারপুল হত্যাকাণ্ড, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা কিশোরকে গুলি ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, এসব মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এক সময় ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ প্রসিকিউটর রয়েছেন এ ট্রাইব্যুনালে। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় মোট তদন্ত কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪।
গত ১০ এপ্রিলের প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট তিন শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেস হয়েছে ২২টি। এসব মিস কেসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ৮৭ জন।