শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদান বন্ধ করতে পারবেন না বলে জানান মোদি : ড. ইউনূস

ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান বন্ধ রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘টক টু আল জাজিরা’য় এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘মুহাম্মদ ইউনূস : রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট অ্যা নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ?’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ জোটের সব দেশের সরকারপ্রধানরা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আপনি যদি তাকে (শেখ হাসিনা) রাখতে চান, তাহলে এ বিষয়ে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি সেখানে যখন থাকবেন, তার কথা বলা উচিত নয়। কারণ এটি (তার বক্তব্য) আমাদের জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করছেন এবং এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নিয়েভ বার্কার জিজ্ঞেস করেন ‘মোদি কী বললেন?’ জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি (মোদি) বলেছেন, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’
শেখ হাসিনার বিচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়া। আইন বলবে, কী করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য। তারা এখনও এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। কিন্তু যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আদালত তাকে নোটিস পাঠাবে। আমরা এর অপেক্ষায় আছি।’
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তরের একটি অংশ আ.লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, এটিসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।’