সংস্কারের নামে সড়কে খোয়া ফেলে উধাও ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার পূর্ব শিববাড়ী বাজার থেকে পাখিমারীরটারী গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়, যার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স। শুরুতে সড়ক খননের পর কিছু অংশে ইটের খোয়া ফেলেই কাজ থেমে যায়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অল্প কিছু কাজ করার পর থেকে প্রকল্পে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ স্থগিত থাকায় এখন পুরো সড়কজুড়ে ছড়িয়ে আছে ধুলাবালি, অসংখ্য গর্ত ও ভাঙাচোরা পথ। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনকে। পথচারীরা হচ্ছেন ধুলায় অতিষ্ঠ; আর বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে চলাচল হয়ে পড়ে আরও দুর্বিষহ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের খোয়া সরে গিয়ে অনেক স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ বলেন, রাস্তা খুঁড়ে খোয়া ফেলে রেখে দিয়েছে। কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই পথে চলাচল করে। বৃষ্টিতে কাদা, শুকনায় ধুলোয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঠিকাদার ও পৌর কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে এই এলাকার জনগণ ভোগান্তিতে পরেছে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের নামে ঠিকাদারের লোকজন কাজ ফেলে চলে গেছে। ফলে শুধু বর্ষা নয়, শুকনো মৌসুমেও রাস্তার ধুলায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমরা দ্রুত এই ভোগান্তির পরিত্রাণ চাই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. শাইদুল ইসলাম জানান, ফান্ড জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ফান্ডে কোনো সমস্যা নেই। ইতোমধ্যে ২ দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। কাজ শেষ করতে আমরা ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দিচ্ছি।