বজ্রাঘাতে মেহগনি গাছ দ্বিখণ্ডিত!
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বজ্রাঘাতে একটি বড় মেহগনি গাছ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তবে গাছটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে কলেজ ক্যাম্পাসে উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুটি তীব্র বজ্রাঘাত ঘটে। দ্বিতীয় বজ্রাঘাতটি সরাসরি মেহগনি গাছের ওপর পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই গাছটি মাঝখান থেকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।
এডওয়ার্ড কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আলামিন হোসেন বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টে ঢোকার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি তীব্র আলোর ঝলকানি দেখি, তারপর প্রচণ্ড শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাছটা দুই ভাগ হয়ে যায়।’
কলেজের পরিচ্ছন্নতা কর্মী জোসনা তালুকদার বলেন, ‘বৃষ্টি আর চারদিকে অন্ধকার ছিল, একটু বাতাসও ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ একটা বিকট গর্জন, তারপর দেখি গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি অফিসের ভেতরে ঢুকে যাই।’
এডওয়ার্ড কলেজ গেটের সামনের ফটোকপি ব্যবসায়ী মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বৃষ্টির মধ্যে দোকানে বসে বৃষ্টি দেখছিলেন। হঠাৎ কয়েকবার বিদ্যুৎ চমকানোর পর এত জোরে একটি গর্জন শোনেন যে তারা লাফিয়ে ওঠেন। চারদিক আলোকিত হয়ে যায়। বৃষ্টি শেষে গিয়ে দেখেন গাছটি মাঝখান দিয়ে দু’ভাগ হয়ে গেছে।
এডওয়ার্ড কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা সবাই অফিস কক্ষে ছিলাম, বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীরা ছিল। বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ ও বিদ্যুৎ চমক দেখতে পাই। বাইরে তাকিয়ে দেখি একটি মেহগনি গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। লম্বা গাছটির মাঝখান দিয়ে বজ্রাঘাতটি গিয়ে গাছটিকে দুভাগ করে ফেলেছে। আল্লাহর রহমতে বাইরে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমার জীবনে এই প্রথম এত কাছ থেকে বজ্রাঘাত দেখলাম।’
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আগে আমরা ভাবতাম, বজ্রাঘাত হলে গাছের নিচে নিরাপদ। এখন দেখছি গাছও নিরাপদ নয়।’