আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা সবাইকে রাজপথে নেমে আসার ডাক
আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলন চলছে। সকালেও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। বাদ জুমা সবাইকে রাজপথে নেমে আসার ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার কালক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। সন্ত্রাসী কায়দায় আওয়ামী লীগ চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। আমাদের আশা ছিল, এই সরকারের প্রথম এবং প্রধান সংস্কার হবে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা। আমরা শুনেছি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে অনেক উপদেষ্টাদেরও অনিচ্ছা রয়েছে।’
আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি না। আর কোনো টালবাহানা চলবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ না করা হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নানামত, নানা দল ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব মানুষকে নিয়ে জুমার নামাজ শেষে আমরা এই যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তারপর ঘরে ফিরব।’
এসময় বাদ জুমা দলমত নির্বিশেষে সবাইকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়কে নেমে আসার আহ্বান জানান হাসনাত।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। রাতেই আন্দোলনে অংশ নেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, এনসিপিসহ অন্যান্য দলের কয়েকশ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
সকাল ৮টার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
এর আগে, হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ঘোষণা দেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে তিনি অবস্থান নেবেন।