ডাবের দাম ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে

মোহাম্মদ নুরুননবী। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগে তিনি ডাব কেনেন, আর সূর্য ওঠার পর থেকে ডাব বিক্রি শুরু করেন। আজ রোববার (১১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার সময়ও তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডাব বিক্রি করছিলেন। কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমে ডাবের বিক্রি বেড়েছে। একইসঙ্গে দামও বেড়েছে বলে জানান নুরুননবী।
প্রখর রোদের মধ্যেই ডাব বিক্রি করতে করতে নুরুননবী বলছিলেন, ১৫০টা ডাব নিয়ে ভোর ৫টার দিকে বসেছি। ৯০ পিস বিক্রি করেছি। বাকি আছে ৬০ পিস। কয়েকদিনের মধ্যে প্রতি পিস ডাবের দাম বেড়েছে ১০ টাকার মতো। আমি গড়ে ৯০ টাকা করে কিনে ১১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।
নুরুননবীর ডাবের দোকানে এক ক্রেতা সে সময় ১০টি ডাব কিনলেন এগারশ টাকায়। তিনি বলেন, ছোট ছোট ডাব, অথচ দাম অনেক বেশি। কিন্তু গরমে ডাব খাওয়ার উপকারিতা আছে বলে কিনছি।
এই যে ছোট ছোট ডাবের এত দাম। শুধু বিক্রি করেন, নাকি নিজেও খান মাঝেমধ্যে? জবাবে ২৭ বছর ধরে ডাব বিক্রি করা নুরুননবী বলেন, যে গরম বাজান, ডাব না খেলে রোদে থাকতে পারি না। আজও খেয়েছি। এই গরমের রোদে ডাব না খেলে বাঁচা কঠিন। প্রায় প্রতিদিনই খাই।
আরেক ডাব বিক্রেতা বুলবুল আহমেদ। তিনি সকালে ৩০০ পিস ডাব নিয়ে বসেছিলেন। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ২০০ পিস বিক্রি করা শেষ।
বুলবুল বলেন, ঈদের পর থেকে মোটামুটি ডাবের দাম বেড়েছে। কয়েকদিন একটু বেশি বেড়েছে। আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে। ১০ থেকে ১৫ টাকা করে প্রতি পিস ডাবের দাম বেড়েছে।

বুলবুলের পাশাপাশি বসে ডাব বিক্রি করছিলেন আলী আকবর। তিনি বলেন, ১৫০ পিস ডাব থেকে ১০০ পিস বিক্রি শেষ। আগে একেবারে ছোট ডাব ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করে কিনতাম। এখন কিনছি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সব সাইজের ডাব গড়ে কিনতে হয়। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে।
সবুজ হোসেন নামের এক ক্রেতা ডাব কিনতে কিনতে বলছিলেন, ডাবের দাম এত বেশি, কিনে খাওয়ার উপায় নেই। তারপরও খাই। কারণ, গরমের মধ্যে ডাবের কার্যকারিতা অনেক। সেজন্য, টাকা একটু বেশি লাগলেও কিনি।