আজও দূষিত ঢাকার বাতাস, বিশ্বে চতুর্থ

রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ মঙ্গলবারও দূষণের চরম পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে ফের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে প্রায় নিয়মিতভাবেই প্রথম সারিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাতাস দূষণের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) এই শহরের বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর ইঙ্গিত দেয় যে, শহরটির বাতাস আজ সাধারণভাবে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
তালিকায় শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর (একিউআই ২৩৯), ইরাকের বাগদাদ (একিউআই ১৯৭) এবং মিশরের কায়রো (একিউআই ১৮৯)।
একিউআই মান অনুযায়ী, ৫০ থেকে ১০০ স্কোর থাকলে বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫০ কোটিরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১০০টি শিশুর মৃত্যুর পেছনে বায়ুদূষণকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একিউআই সূচক মূলত পাঁচটি প্রধান দূষণের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। এগুলো হলো—অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (এনও২), কার্বন মনোক্সাইড (সিও), সালফার ডাই অক্সাইড (এসও২) এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত শীতকালে শহরের বায়ুর গুণমান সবচেয়ে বেশি খারাপ থাকে এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি দেখা যায়।