নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান ঢাকার

বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে সবাইকে এদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শফিকুল আলম এ আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বার্তাসংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, তারা প্রত্যক্ষ করেছেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী ও নির্মম শাসনামলে কী করেছে, কীভাবে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক অঙ্গনকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছে এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করেছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘এই দলটির সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ফলে সৃষ্ট ক্ষত এখনও তাজা রয়েছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই দলের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তারা স্মরণ করে দেখুক কীভাবে আওয়ামী লীগ বারবার চরম প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছে এবং আমাদের নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের ওপর অন্তর্বর্তী সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’
জয়সওয়াল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই ‘গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ ও সংকোচন হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন’।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দ্রুত আয়োজনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলের নেতাকর্মীদের বিচার চলমান অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সমস্ত কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।