আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন ১১ বাংলাদেশি

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ত্রিপুরা রাজ্যে আটক হওয়া এক নারীসহ ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ১টার দিকে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রত্যাবাসনের সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং এবং যাতায়াতের জন্য নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
ফিরে আসা ১১ জন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মো. খাবির, মো. রুহুল, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদিরুল ইসলাম, মো. মান্নান আলী ও মো. রুহুল আমিন; কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা; বাগেরহাটের মো. হেলাল জমাদ্দার ও রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম অনিক।
প্রত্যাবাসনের সময় দুই দেশের সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস এম আলমাস হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মোখলেছুর রহমান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মকর্তারা ও প্রত্যাবাসিতদের স্বজনরা।
ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত দেড় বছরে বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করায় ওই ১১ জনকে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংগর কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করে ভারত সরকারের কাছ থেকে অনাপত্তি সনদ নিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের সহকারী কনস্যুলার ওমর শরীফ বলেন, ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে আদালতের নির্দেশে ছয় মাসের সাজা দেয়। সাজা শেষে তারা আজ দেশে ফিরেছেন। বর্তমানে আরও ১৪ জন বাংলাদেশিকে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
দেশে ফিরে আসা কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা জানান, দেশে একটি পার্লারে কাজ করতাম। বন্যায় ক্ষতির কারণে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কাজের আশায় সীমান্ত পাড়ি দিই। কিন্তু পৌঁছেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে যাই।
ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শিহাবুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের শূন্যরেখায় স্বাগত জানিয়েছি। পরে খাবার, কাউন্সেলিং এবং নগদ তিন হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সমাজের মূলধারায় তাদের ফিরিয়ে আনতে ব্র্যাক কাজ করে যাবে।