জবির আন্দোলনে সাবেক শিক্ষার্থীদের সংহতি ও সহায়তা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান আন্দোলনে কেবল বর্তমান শিক্ষার্থীরাই নয়, সাবেক শিক্ষার্থীরাও নানাভাবে সহায়তা ও সংহতি প্রকাশ করছেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাবেক জবিয়ানরা আন্দোলনস্থলে এসে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, পায়ে হেঁটে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে অথবা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া যারা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারছেন না, তারা মোবাইল ব্যাংকিং ও অন্যান্য মাধ্যমে অর্থ, খাবার, পানি পাঠিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরিফ হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলন কেবল বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়। আমাদের সময়েও আমরা চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছিলাম। তাই এই লড়াইয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এসেছি। এটি কেবল অধিকার নয়, বেঁচে থাকার প্রশ্ন।’
সাবেক শিক্ষার্থী মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে হবে। আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরবে না।’
আন্দোলনস্থলের স্বেচ্ছাসেবকেরা বলেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তায় প্রতিদিন শত শত খাবারের প্যাকেট ও পানীয় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এই আন্দোলন এখন আর কেবল কিছু দাবির আন্দোলন নয়; এটি জবির স্বপ্ন, স্বকীয়তা ও ন্যায্যতার আন্দোলন। সাবেক শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এই সংগ্রাম আমাদের সবার।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় আন্দোলন আরও বেগবান হচ্ছে।
চলমান আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো—১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা। ২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া। ৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও দ্রুত বাস্তবায়ন। ৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।