কবে থামবে তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ের মানুষের কান্না

তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মানচিত্র। ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়ার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চন্দ্রদ্বীপ, নাজিরপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বসভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসহ অসংখ্য স্থাপনা। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তেঁতুলিয়া। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে ধানদী, নিমদী, কচুয়া, বড় ডালিয়া, তাঁতের কাঠী, চরব্যারেট ও দিয়ারা কচুয়া এলাকায়।
মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতে রোববার (১৮ মে) সকালে তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ের নিমদী-ধানদী এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। কয়েকশ নারী-পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী এবিএম মিজানুর রহমান, এমএ বাশার, আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও মো. শাহীন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে তেঁতুলিয়া ভাঙছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। বিগত সরকারের আমলে বার বার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তবে বাস্তবে বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। কোনো সরকারই ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাড়ায়নি। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। সর্বস্বান্ত হয়েছে শতশত পরিবার। তাই বর্তমানন সরকারের কাছে দাবি ভাঙনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে রক্ষা করা হোক।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, গতবছর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তবে ভাঙন রোধে দরকার স্থায়ী সমাধান। ভাঙন কবলিত এলাকা স্টাডি করে প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।