কোরবানির পশুর গাড়ি মাঝপথে থামালে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোরবানির পশু বহনকারী গাড়ি মাঝপথে থামানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে সাধারণত আমাদের কোরবানির গরুর হাটগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যায়। সেজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব কোরবানির পশুর বা গরুর গাড়ি আসবে, সেসবের সামনে সুনির্দিষ্ট হাটের তথ্য থাকতে হবে। যেখানে-সেখানে গরু নামাতে পারবে না। রাস্তায় গরু না নামিয়ে নির্ধারিত স্থানে নামাতে হবে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হাটেই আনসার সদস্য রাখতে হবে। কিছু হাটে ৭৫ জন করে আবার কিছু হাটে কম-বেশি হতে পারে।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিরাপত্তার পাশাপাশি হাটে গরুর চিকিৎসক থাকতে হবে। কোনোভাবেই যেন অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক সময় গরুর আঘাতে মানুষ আহত হয়, এজন্য ফার্স্ট এইডেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ বছর শতকরা ৫ টাকা হাসিল নিলেও আগামী বছর থেকে ১০০ টাকায় ৪ টাকা হারে নিতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে এবং ঈদের পর তিন দিন চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা কোনো অবস্থায় রাতে চলাচল করতে পারবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদ সামনে রেখে কোনো বাস, ট্রেন, নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। একই নিয়ম থাকবে পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিভিন্ন দাবি থাকবেই। আমরা আহ্বান করব সব মন্ত্রণালয় যেন যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়। তবে কেউ যেন অযৌক্তিক দাবি না করে- সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। আর সবাই যেন তাদের নিজেদের কমপ্লেক্সের মধ্যে দাবির জন্য দাঁড়ায়। রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন তারা সৃষ্টি না করে।’
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।