গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কত অপেক্ষা করবে, প্রশ্ন নজরুল ইসলামের

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কতদিন অপেক্ষা করবে, এ প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ প্রশ্ন তুলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ আমরা, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছি, যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি এবং এখনও আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় বসে আছি। সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলছি, স্লোগান দিচ্ছি, সভা-সমাবেশ করছি। কত দিন? কতবার আমাদেরকে এই কাজ করতে হবে?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ছেলে-মেয়ের প্রাইমারি স্কুলে পড়ে, পরিশ্রম করে হাই স্কুলে যায়, হাইস্কুলে পড়াশোনা করে কষ্ট করে কলেজে যায়, সেখানে পড়াশোনা করে কষ্ট করে ইউনির্ভাসিটিতে যায়। আর আমাদেরকে এই বাংলাদেশের জনগণকে বারবার সেই সাপ-লুড়ু খেলার মতো ৯৩ থেকে ৩ এ চলে আসতে হইতেছে। কেন? আমরা ৯৩ থেকে ৯৪, ৯৫, ৯৬, ৯৭ কইরা ১০০ তে পৌঁছেতে চাই। এই পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে আমরা তাদের ওই সাপ লুডুর সাপ বলে মনে করি।’
বিএনপিনেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা আমাদেরেকে বারবার ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। নানা রকমের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির জন্য। এটা করতে হবে আগে, ওটা করতে হবে আগে। আগে-পরে করার প্রশ্ন তো নাই। যা যা করা দরকার সবই করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল, যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা তাদের সঙ্গে ছিলো তাদের সবার বিচার অবশ্যই করতে হবে। কারণ তারা আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে, আমার সহকর্মীর বিরুদ্ধে, আমার দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। অবশ্যই বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। এই প্রশ্ন যারা তোলে তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনটাকে বিলম্বিত করতে চায়।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনি জুলুম করতে পারেন, তিন দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে, সাত দিন বা দশ দিন বা এক মাসের মধ্যে বিচার করতে হবে। এটা করা উচিত? সুবিচারের জন্য এই শব্দটা কি ভালো? আমরা বলেছি, দ্রুত বিচার অবশ্যই করতে হবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, আরেকটা ট্রাইব্যুনাল করেন। একটা ট্রাইব্যুনালে হবে না। করতে করতে তা কয়েকদিন আগে করল। এখন পর্যন্ত সেটা কার্য্কর হয় নাই। দোষটা কার? আমাদের? ইনভেস্টিগেশন অফিসার নেই। আরও দিতে হবে… সেটা করা হচ্ছে না, বিলম্ব করা হচ্ছে। আসল উদ্দেশ্যটা কী?’
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।