ভৈরবে দুই হাজারের বেশি খামারে প্রস্তুত কোরবানির পশু

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রস্তুত করা হয়েছে ৪০ হাজার কোরবানির পশু। স্থানীয় চাহিদা ১৫ হাজার হলেও অতিরিক্ত ২৫ হাজার পশু আশপাশের জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, ভৈরবে এবার মোট ২ হাজার ৫৭টি খামারে কোরবানির জন্য পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ২৫ হাজার, ছাগল ও ভেড়া ১৫ হাজার এবং দুম্বা রয়েছে ১৫টি।
ঘোড়াকান্দা বালুর মাঠ এলাকার মওলা অ্যাগ্রো ফার্মের খামারি আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাদের খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে ৫৪টি গরু ও ১০টি ছাগল লালনপালন করা হয়েছে। স্টেরয়েড বা হরমোন জাতীয় কোনো ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি। তাদের দুটি নজরকাড়া গরু রয়েছে- একটির নাম সাদা বাদশা, যার ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি; অন্যটির নাম কালা বাদশা, যার ওজন ১ হাজার কেজির বেশি। সাদা বাদশার দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা এবং কালা বাদশা ৮ লাখ টাকা।

কমলপুর নিউ টাউন এলাকার খামারি সাজ্জাতুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত মুনাফা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছরের মতো এবারও যদি সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশি পশু ঢোকে, তবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পশুখাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্তে কড়া নজরদারির মাধ্যমে পশু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ভৈরবের দুই হাজার ৫৭টি খামারে ৪০ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদার বিপরীতে ২৫ হাজার উদ্বৃত্ত।
আজাহারুল ইসলাম আরও বলেন, এখানকার খামারের পশুগুলোকে নিরাপদ রাখতে তার দপ্তর সাতটি মেডিকেল টিম গঠন করে তদারকি করেছেন। যাতে করে পশুর ক্ষতিকর রোগসহ মানবদেহের জন্য অনিরাপদ কোনো মেডিসিন ব্যবহার না হয়।