মেহেরপুরে জমে উঠেছে লিচুর বাজার, দামে হতাশ ক্রেতারা

মেহেরপুরে লিচুর মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে লিচু বিক্রি নিয়ে ভিড় জমছে। বোম্বাই, চায়না-থ্রি, মোজাফফর আর আটি জাতের লিচু উঠেছে বাজারে। তবে দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মনে হতাশা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, ভালো দামে লিচু বিক্রি করে খুশি চাষিরা।
মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জেলার সবচেয়ে বড় লিচুর আড়ত গড়ে উঠেছে। সেখানে সকাল থেকেই পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের ভিড় থাকে। জেলার নানা এলাকা থেকে আসা চাষিরা লিচু নিয়ে আসছেন। দামও পাচ্ছেন ভালো। বাজারে প্রতি কাউন্ট (১৬ পোন বা প্রায় ১২৪০টি) লিচুর দাম ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। গেল বছরের তুলনায় প্রতি কাউন্টে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, এবার লিচুর ফলন তুলনামূলক কম হলেও বাজারে চাহিদা বেশি, তাই দাম ভালো পাচ্ছেন। একজন চাষি বলেন, লিচু গাছে কম এসেছে, কিন্তু দাম বেশি, তাই লাভ ভালো হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রেতাদের অনেকে লিচু না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। একজন ভোক্তা বলেন, লিচুর দাম অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ দাম বেড়েছে। সবাই খেতে চায়, কিন্তু এত দাম দিয়ে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুরে এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। বাজারমূল্য ধরা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। প্রতিদিন জেলার বাজারগুলোতে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ কাউন্ট লিচু বিক্রি হচ্ছে।
এক ব্যবসায়ী জানান, মেহেরপুরের লিচুর স্বাদ আলাদা। তাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন লিচু যাচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুলর আলম বলেন, জেলায় উচ্চফলনশীল ও সুস্বাদু লিচুর জাতগুলো সম্প্রসারণে আমরা কাজ করছি। এ বছর আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল ছিল, ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। তবে বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। ভবিষ্যতে আধুনিক পদ্ধতিতে লিচু চাষে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ আরও বাড়ানো হবে।