নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেত্রী মবিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বনানী থানার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৮ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে ,গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্যের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। গত ২৫ মে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনে ‘কায়সার কামালকে থামাবে কে, আর কত কেলেঙ্কারি’, ‘কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ’ শিরোনামে অপপ্রচার ছড়ানো হয়। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সম্পর্কে মুদ্রিত ও প্রকাশিত এমন বিবৃতি ইচ্ছেকৃত,ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সৃজিত তথ্য প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়েছে। আসামি মবিনা জান্নাত কর্তৃক দায়ের করা বিচারাধীন একটি মামলায় আসামি জামিন পেয়েছেন। সেই মামলায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি শুনানিতে অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও এ মামলার আসামি মবিনা জান্নাত সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন, মানহানিকর বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি ও বিধি লঙ্ঘন করে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বক্তব্য না শুনে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এক পক্ষীয় মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া, হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতি প্রচার এবং প্রকাশ করে। এতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, তথা গোটা আইনজীবী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এতে ভুক্তভোগীকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।