পাবনায় পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ

পাবনায় কোরবানির পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত রেটের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসনের বেধে দেওয়া রেট উপেক্ষা করে গরু, মহিষ ও ছাগলের হাসিল ইচ্ছেমতো আদায় করছে হাট ইজারাদাররা। প্রশাসনের নজরদারি দুর্বল থাকায় এই অনিয়ম দিনের পর দিন চলছে বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
গতকাল রোববার (১ জুন) সন্ধ্যায় পাবনা সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া মাদরাসা মাঠের গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বড় গরুর জন্য নির্ধারিত ৬৫০ টাকার বদলে আদায় করা হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত। ছোট গরুর ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকার পরিবর্তে আদায় হচ্ছে ১ হাজার টাকা। ছাগলের হাসিল নির্ধারিত ২৪০ টাকার স্থলে আদায় হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অভিযান চালালেও তা দায়সারা। তবে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে হাটে অভিযান চালিয়ে ইজারাদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
পাবনার ভাঁড়ারা থেকে আসা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে গরু কিনতে আসছি। ৮০ হাজার টাকা দিয়ে একটা ছোট গরু কিনেছি। তবে হাসিল নেওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। কিন্তু আমাদের থেকে ১২০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। আমরা দিতে চাইনি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে।

তারাবাড়িয়া মাদরাসা হাট ইজারাদার ও সুজানগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রইজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমরা সরকার থেকে কোটি টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছি। বেশি টাকা না নিলে হাটের টাকা উঠবে না। আর ঈদের সময় একটু বেশি নিতে হয়। সারা বছর তো বেশি নিতে পারি না।

পাবনা সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে হাটে অভিযান পরিচালনা করে সত্যতা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাইকিং করে সরকার নির্ধারিত টাকা হাসিল আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যদি এমন অভিযোগ পাই তাহলে বড় ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসনের নজরদারি ব্যাপক বাড়ানো হবে। কেউ অতিরিক্ত হাসিল নিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।