রামচন্দ্রপুর খালকে টেকসইভাবে পরিচ্ছন্নকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজধানীর আদাবর এলাকার রামচন্দ্রপুর খালটিকে টেকসইভাবে পরিচ্ছন্নকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ শনিবার (২১ জুন) আদাবরে রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্নকরণের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই খালে যেন বাসা-বাড়ির বর্জ্য ফেলতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আর এজন্য স্থানীয় জনগণকে এখানে ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগে এলাকার প্রাণ ছিল এ খালটি। কিন্তু দীর্ঘদিন মনুষ্য বর্জ্যে চরমভাবে দূষিত হয়ে পড়ছিল। এখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এটিকে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্তকরণের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। খালটিকে আমাদের বাঁচাতে হবে। আশা করছি, পরিচ্ছন্নকরণের মাধ্যমে সামনে এ খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হবে। খালটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নকরণের কাজ এবার যাতে টেকসই হয় সেজন্য একটা কর্ম-পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অন্তত আগামী এক বছর স্থানীয় মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এ কাজটা অব্যাহত রাখতে হবে। খালের সুন্দরটা দেখলে মানুষের মধ্যে খালটিকে রক্ষা করার একটা ইচ্ছা জাগবে।
উপদেষ্টা বলেন, রামচন্দ্রপুর খাল, সুভাঢ্যা খাল এ দু’টোরই পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্তকরণের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে জনগণকেও কিন্তু সচেতন হতে হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপনার এখানে কেউ ময়লা নিতে আসবে না, তাই বলে কি আপনি খালে বর্জ্য ফেলে দিবেন! এখন থেকে এখানে তা হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আপাতত এ কাজটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দিয়ে শুরু হয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রামচন্দ্রপুর খালকে যদি বাঁচাতে হয় তবে খালটির পাড় বাঁধাই, খনন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়োঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সৌন্দর্যবর্ধন এসব অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমন্বিত প্রকল্প আমাদের নিতেই হবে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন।
আইডিএলসির আর্থিক সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুটস্টেপ রামচন্দ্রপুর খালের এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এক্সেবেটরসহ লজিস্টিকস সহযোগিতা প্রদান করছে।