আজ যেসব নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে

আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদী সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুইদিন বাড়তে পারে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। তবে সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস নিয়ে রোববার (২২ জুন) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানা হয়।
নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, সারিপোয়াইন জিজিয়াম ও সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে ভুগাই, মনু, যাদুকাটা ও খোয়াই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে; এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামীকাল মাঝারি-ভারি থেকে ভারি এবং আগামী বুধবার মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নদীর পানি সমতলে আজ থেকে বাড়তে পারে এবং তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী আগামী ২৪ ঘণ্টায় সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে।
তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, ভিভা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে ও আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী দুদিন মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী চার দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলে বাড়তে পারে; তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি আজ থেকে হ্রাস পেতে পারে এবং আগামীকাল থেকে স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে আগামী দুই দিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী চার দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।