জনগণের মতামতেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি : আমিনুল হক

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ‘জনগণের মতামত নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। বিএনপি কখনো জনগণকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। জনগণের মতই আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশনা—এটাই আমাদের শপথ, এটাই পথচলার পাথেয়।’
আজ শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর ভাষানটেক থানা ও ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দেশের সব ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এদেশের সাধারণ মানুষ। তারাই ঠিক করবে বাংলাদেশ কোন পথে চলবে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ওপরে যে কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে, বিএনপি তা বিশ্বাস করে না। আমরা জনগণের মতামত নিয়েই একটি মানবিক ও ন্যায়ের সমাজ গড়তে চাই।’
দলের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দলের কেউ যদি বিশৃঙ্খলা বা অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তার দায় দল নেবে না। বিএনপি কোনো স্বৈরাচারী আচরণে বিশ্বাস করে না, বরং যারা আন্দোলনে নিবেদিত, ত্যাগ স্বীকার করেছেন—তাদেরই প্রথমে সদস্য পদ নবায়ন করা হবে।’
আমিনুল হক বলেন, ‘যারা গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে সুবিধা নিয়েছে, ব্যবসা করেছে, তারা আর বিএনপির ছায়ায় থাকতে পারবে না। সদস্য নবায়ন ফরমে আদায়কারীর স্বাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অনুপ্রবেশকারীর নাম থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট আদায়কারীকেই নিতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করে বিএনপিনেতা আমিনুল হক বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যারা রাজপথে ছিল, তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি যারা যোগ্য এবং কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এমন নতুন সদস্যদেরও দলে স্বাগত জানানো হবে।’
ভাষানটেক থানা বিএনপি আহ্বায়ক মো. আব্দুল কাদির ও ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মুহাম্মদ ইউসুফ, মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর উত্তরের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, শামীম পারভেজ, হাফিজুর রহমান শুভ্র, শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডা. রিয়াজ, মনিরুল আলম রাহিমী, ফারুক হুসাইন ভূইয়া, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, ইব্রাহিম খলিল, তাসলিমা রিতা, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ উদ্দীন, মো. শফিকুর রহমান রতন, ভাষানটেক থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক রেজানূর সেলিম, ইসমাঈল হোসেন বকুল, শামীম ইসলাম খোকন, তুরাগ থানা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলীসহ অন্যান্যরা।