সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় চলমান তদন্তে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করতে চাই। তারাও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছি।’
উপদেষ্টা আরও জানান, সম্প্রতি একই অভিযোগে আরও দুই বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, এ বিষয়ে আরও অগ্রগতি হতে পারে। আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি, আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় ও অভিযোগের বিস্তারিত জানতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি কেউ জড়িত থাকে, তবে তাকে মালয়েশিয়ার আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে। এক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে খালাস পাওয়াটাই হবে স্বাভাবিক।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি মোহামাদ হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
ওই বৈঠকে দুপক্ষই তথ্য আদান-প্রদান ও গ্রেপ্তারকৃতদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হন।
এ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।