বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ, ৮ জেলায় তীব্র লোডশেডিং

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পর্যায়ক্রমে দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত দিনাজপুরসহ আটটি জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সমস্যাটি সমাধানে দিনব্যাপী বিশেষজ্ঞ দল চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি। সন্ধ্যার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে পুরো কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত কার্যকরভাবে চালু ছিল মাত্র দুটি ইউনিট।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী (নেসকো) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ট্রিপ করার সঙ্গে সঙ্গেই রংপুর বিভাগের প্রায় সব গ্রিড ট্রিপ করে যায়। বর্তমানে ৩৩ কেভি লাইন চালু থাকলেও সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) আশরাফুল আলম মন্ডল জানান, জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করায় এই বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় ঘনঘন লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দিনাজপুরে আজ সকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছে সাধারণ মানুষ।