প্লট বরাদ্দে অনিয়ম : সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি নথিপত্র তলব করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক (মিডিয়া) আকতারুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাবেক প্রধান বিচারপতি এই সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য বৃহস্পতিবারই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৩ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বিচারপতি খায়রুল হককে একটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে প্লট বরাদ্দের শর্ত অনুযায়ী প্রথম কিস্তির সাড়ে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজউক বরাদ্দ বাতিল করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে তিনি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে আবার প্লট গ্রহণ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এ সময় তিনি ছয় বছর আগের প্রথম কিস্তির টাকার চেক জমা দেন, যা নগদায়ন হয়নি। এরপর অবসর গ্রহণের পর যাবতীয় পাওনা পরিশোধের শর্তে তাকে অবৈধভাবে প্লটটি হস্তান্তর করা হয়।
দুদক জানিয়েছে, বিদ্যমান নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত বছর তার বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ আচরণসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছিল।