মাদ্রাজি ওল চাষে স্বপ্ন বুনছেন সাঘাটার যুবক

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীর সাকোয়া গ্রামের যুবক গৌতম চন্দ্র বর্মণ ইউটিউবে ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমেছেন ওল কচু চাষে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তিনি পেয়েছেন মাদ্রাজি জাতের ওল বীজ। বর্তমানে তিনি এক বিঘা জমিতে এই ওল চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন বুনছেন।
গৌতম জানান, মাদ্রাজি জাতের এই ওল কচু শুধু ফলনেই ভালো নয়, গাছের কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। রোগবালাই কম, পরিচর্যা সহজ—তাই খরচও তুলনামূলক কম।
গৌতম বলেন, আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই প্রতিটি ওল চার-পাঁচ কেজি ওজনের হবে। তারপর স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ হাটে বিক্রি করব। দাম ভালো পেলে চাষ আরও বাড়াব।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন ধরনের ফসল চাষে আগ্রহী কৃষকদের জন্য মাদ্রাজি ওল একটি লাভজনক ও পুষ্টিকর বিকল্প হতে পারে। মাদ্রাজি জাতের ওল কচু পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও সি। এটি হজমে সহায়ক, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, গৌতমের মতো তরুণদের এ ধরনের উদ্যোগ অন্য কৃষকদেরও উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সাঘাটায় মাত্র দুজন কৃষক ওল চাষে যুক্ত আছেন। তাঁদের মধ্যে গৌতমের উদ্যোগ শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটি এলাকাবাসীর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।