গঙ্গা ব্যারেজ না হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার : আইনুন নিশাত

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেছেন, গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ না হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ অবস্থায় যাবে। রোববার (২৭ জুলাই) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
নিশাত প্রশ্ন তোলেন, আপনারা নিজের দেশটাকে কতটুকু জানেন? জানেন না। সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট-বরগুনার দক্ষিণাংশে ইতিমধ্যে জনসংখ্যা গ্রোথ ইজ নেগেটিভ। মানুষ ওখান থেকে পালাচ্ছে? কারণ সেটা বসবাসযোগ্য নেই।
আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টা যোগ করলে এখন থেকে ৩০-৪০ বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। তাই এখনই চিন্তা করতে হবে ও দক্ষিণ-পশ্চিমাংশকে পানি দিতে হবে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে ১৯৯৬ সালের চুক্তির ফলে বাংলাদেশ যতটুকু পানি পাওয়ার কথা তার কিছু অংশ, অর্থাৎ ৩৫ হাজার কিউসেকের মধ্যে ১৫ হাজার বা অন্তত ১০ হাজার কিউসেক পানি যদি যশোর-খুলনায় দেওয়া যায়, তাহলে ওই এলাকা রক্ষা পাবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য আক্ষেপ করে বলেন, এটা কেন হয়নি? এর একটাই উত্তর, এর পেছনে রাজনৈতিক শক্তি ছিল না। মূলত সিদ্ধান্তটা হবে রাজনৈতিক ভিত্তিতে। তিনি আরও বলেন, সেতু নির্মাণ করবেন? এটা হবে কি হবে না... ১৮ আনাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা এখানে যারা আছি আমরা কারিগরি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাই। কিন্তু সিদ্ধান্ত আসে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকেই।
‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র সভাপতি সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়াও সেমিনারে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, সাবেক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর হোসেন খান জালাল বক্তব্য দেন।