রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানা পুলিশ।

আজ শনিবার (২ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মিন্টু হালদার (৪২), মো. নাজমুল হাসান, নির্মল হালদার (৩৭), সালাউদ্দিন (৩৫), মো. দেলোয়ার হোসেন সিকদার (৫৫), সৈয়দ শামীম হোসেন (৪৫), পবিত্র পাল (৩৮) ও বলরাম চন্দ্র পাল (৩৭)।

ডিসি মাসুদ আলম জানান, গত ২৮ জুলাই দুপুরে রঞ্জন চন্দ্র সিংহ নামের এক ব্যক্তি হেঁটে বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছলে তিন-চারজন অজ্ঞাতনামা লোক র‍্যাবের পোশাক পরিহিত অবস্থায় তাকে জোরপূর্বক একটি সাদা রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাসে তুলতে চেষ্টা করে। এ সময় তিনি তাদের হাত থেকে বাঁচতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ভর্তি ব্যাগ রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। তখন র‍্যাবের পোশাক পরিহিত লোকজন ধাক্কা দিয়ে তার ব্যাগটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই ব্যাগে নগদ চার লাখ টাকা ও প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনায় রঞ্জন চন্দ্র সিংহের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মাসুদ আলম আরও জানান, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানার একটি দল গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত র‍্যাবের তিনটি ইউনিফর্ম শার্ট, একটি র‍্যাব ইউনিফর্ম প্যান্ট, দুটি র‍্যাবের হ্যাঙ্গিং ব্যাজ, চারটি র‍্যাবের শোল্ডার ব্যাজ, র‍্যাবের ছয়টি র‍্যাঙ্ক ব্যাজ, র‍্যাবের একটি  লেনিয়ার্ড, র‍্যাবের একটি টিউনিং হ্যাঙ্গিং ব্যাজ, একটি র‍্যাব লেখা ক্যাপ, ১১টি মোবাইলফোন, দুটি খেলনা পিস্তল, দুটি হ্যান্ডকাফ, দুটি সিগন্যাল লাইট ও একটি হিরো স্কুটি উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা রাজধানীর তাঁতিবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় আগত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করে তাদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে পথরোধ করে র‍্যাব ও ডিবির পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।