ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ

স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়নসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছে।
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে আজ রোববার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই অবরোধ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সকালে অবরোধ শুরুর সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরে গেলে সড়ক অবরোধ শুরু হয়।
ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। টানা ১৫ দিন ধরে চলা এই আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় আজ চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করা হলো। এর আগে আরো তিন দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।
সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাসদস্য থাকলেও তাদের চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সড়ক বন্ধ থাকায় অবরোধস্থলের দুদিকে যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালের কিছু অংশসহ পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সবরকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
তবে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সমস্যা নিরসনে আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে।