বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪০ জন পলাতক পুলিশ কর্মকর্তার ৭৮টি বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) ও পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ) পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আজ রোববার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে নিজ কর্মস্থল হতে পলায়ন করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এরূপ ৪০ (চল্লিশ) জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে প্রদত্ত পুলিশ পদক নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।

তালিকার অনেককেই ইতিমধ্যে পলাতক থাকার অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করলেও তারা কর্মস্থলে যোগ দেননি।

যাদের পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে—

নানা কারণে আলোচিত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদের চারটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের তিনটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডিএমপির আরেক আলোচিত কর্মকর্তা সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের তিনটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মীনার দুটো পদক প্রত্যাহার হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দারের তিনটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল মুখার্জীর একটি পদক প্রত্যাহার হয়েছে। র্যা ব-১০ এর সাবেক পরিচালক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ফরিদ উদ্দীনের দুটো পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংখ্যাতিরিক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া আয়েশা সিদ্দিকার দুটো পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সাবেক যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসানের চারটি ও সঞ্জিত কুমার রায়ের একটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

দুটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার জায়েদুল আলমের। ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার রিফাত রহমান শামীমের একটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডিএমপির আরেক সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর দুটো পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আশরাফুল আজীমের একটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসপি আসাদুজ্জামানের তিনটি, মো. শাহজাহানের একটি, ছানোয়ার হোসেনের চারটি, মানস কুমার পোদ্দারের দুটি, গোলাম মোস্তফা রাসেলের তিনটি, আরিফুর রহমান মণ্ডলের চারটি এবং ইকবাল হোসাইনের একটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সংখ্যাতিরিক্ত এসপি হিসেবে পদক পাওয়া হাসান আরাফাতের দুটি ও রহমত উল্লাহ চৌধুরীর তিনটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে এসএম জাহাঙ্গীর হাসানের তিনটি, রুবাইয়াত জামানের একটি, শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলামের একটি, তোহিদুল ইসলামের দুটি, ইফতেখায়রুল ইসলামের দুটি, রওশনুল হক সৈকতের একটি এবং মিশু বিশ্বাসের দুটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) মধ্যে গোলাম রুহানীর একটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন থানার ওসি ও গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালন করা ৯ জন পুলিশ পরিদর্শকের পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে মেজবাহউদ্দিন আহাম্মেদের তিনটি, মশিউর রহমানের দুটি পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া একটি করে পদক প্রত্যাহার হয়েছে বিএম ফরমান আলী, নূর এ আলম সিদ্দিকী, কাজী মাইনুল ইসলাম, অপূর্ব হাসান, মো. শাহজামান, শেখ আমিনুল বাশার ও জাকির হোসাইনের।