আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

গ্রাহকের আমানতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আহমেদীয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ভবন ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কাফরুল থানা এলাকার ‘ইউরো স্টার টাওয়ার’ নামের দশতলা এই ভবনটি ক্রোক করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
জসীম উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত মনির আহমেদ (৫৩) ২০০৬ সালে তার সমবায় সমিতির নিবন্ধন পরিবর্তন করেন। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল শুধু সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও আমানত সংগ্রহ করে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা। নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র ২১ জন সদস্যের মধ্যে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও মনির আহমেদ উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, মহাখালী, কাফরুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা এই অর্থ দিয়ে মনির আহমেদ নিজের নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনির আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
জসীম উদ্দিন জানান, মামলার তদন্ত চলাকালে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ইব্রাহিম মৌজায় ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ‘ইউরো স্টার টাওয়ার’ নামক এই বাণিজ্যিক ভবনটির সন্ধান পায়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ১৬ জুলাই ভবনটি ক্রোকের আদেশ দেন। সিআইডি এই মানিলন্ডারিং মামলাটি নিয়ে নিবিড় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।