বর্ষায় মাচায় ঝুলছে ‘মার্সেলো’ তরমুজ

নওগাঁর পত্নীতলা, মহাদেবপুর, রাণীনগর ও সদর উপজেলায় মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড ‘মার্সেলো’ জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলছে কালো রঙের তরমুজ, প্রতিটি জালি দিয়ে বাঁধা- দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, বাজারে তেমনি চাহিদাও বেশি।
লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এ তরমুজের ভেতর গাঢ় লাল, স্বাদে মিষ্টি। ওজন ৩-৫ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতি বিঘায় দেড় থেকে দুই হাজার তরমুজ উৎপাদন সম্ভব। গাছ লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়।
রাণীনগরের কৃষক নিরাঞ্জন চন্দ্র প্রামানিক জানান, ২৫ শতক জমিতে রাসায়নিক সার ছাড়াই বিষমুক্ত মার্সেলো তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। বাজারে কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হওয়ায় ভালো লাভ পাচ্ছেন। তার ক্ষেত দেখে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক ও ভোক্তারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ফল বর্ষায় দেখতে পাওয়া বিস্ময়কর। অনেকেই ক্ষেত থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষমুক্ত তরমুজ চাষ করতে মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে জেলার ৪টি উপজেলায়। বর্ষায় মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে এ জাতের তরমুজ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।