গয়েশ্বর চন্দ্রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ২৮ আগস্ট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহের এ দিন নির্ধারণ করেন। এদিন মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায়ের জন্য নতুন দিন ঘোষণা করেন।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক এস এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক এস এস মফিদুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বর চন্দ্রের একটি ছয়তলা বাড়ি, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈতৃক জমিতে গয়েশ্বরের বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপনকৃত এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। এ ছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-০৫ সনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।