এবার প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অবসরপ্রাপ্ত ৭৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ

প্রশাসন ক্যাডারের পর এবার অন্যান্য ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে গঠিত পর্যালোচনা কমিটি।
পদোন্নতির সুপারিশপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন। এরমধ্যে ৬ জনকে ৩ ধাপ, ১৭ জনকে ২ ধাপ এবং ৫৫ জন কর্মকর্তাকে ১ ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে কমিটি।
এছাড়া আবেদন করা ১৩২ জন কর্মকর্তাকে কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করেনি। তাদেরকে কেন পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেছে কমিটি।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ২য় পর্যায়ের পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেন পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে এই কমিটির প্রথম পর্যায়ের প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকুরিতে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লিখিত সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০২৪ সালের ১৬ আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট গঠিত কমিটি দুই ধাপে তার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
কমিটি প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার আবেদনসমূহ পর্যালোচনাপূর্বক গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।
দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতিরেকে অন্যান্য যেসব ক্যাডারে ৩য় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে সেসব ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে ৬৮টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত এবং ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ হওয়ায় মোট ১০৮টি আবেদন বিবেচনা করা হয়নি। ফলে কমিটির পর্যালোচনাযোগ্য আবেদন ছিল ২১০টি।
প্রত্যেক ক্যাডারের আবেদন বিবেচনার সময় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যি সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।