গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার বাসা থেকে গুলিসহ দেশীয় পাইপ গান উদ্ধার

গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার বাসার বাথরুম থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দিনগত রাতে গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া এলাকার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কেএম বাবরের ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে দেশীয় পাইপগানসহ এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিনগত রাত দুইটার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া এলাকার কে এম বাবরের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর একটি দল। এ সময় ওই বাসার বাথরুমের লোডাউনের (ফ্লাশার) মধ্য থেকে পলিব্যাগে পেঁচানো অবস্থায় একটি দেশীয় পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকৃত গুলি ও পাইপগান গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর বলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি ঢাকায় যাই। মা ১৫ দিন আগে সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাড়িতে যায়। বাসায় আমার স্ত্রী, দুই সন্তান ও গৃহকর্মী ছিল। রাত দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসায় গিয়ে পরিচয় দেওয়ার পর আমার স্ত্রী গেট খুলে দেয়। তারা বাসায় প্রবেশের পর আমার মায়ের কক্ষের বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশারের ভেতর থেকে একটি পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগ খুলে দেখা যায় এর মধ্যে দেশীয় তৈরি একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি রয়েছে। অথচ আমার বাসায় একটা চাকুও থাকে না। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ এই কাজ করেছে।”
প্রতিপক্ষ কারা ফাঁসাতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম বাবর বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন অথবা আমার দলীয় সংগঠনের লোকজনও হতে পারে। তবে আমার সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা নাই। আমি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে অনুরোধ করছি, তারা বিষয়টি তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হবে। যারা এ তথ্য দিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।”
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, গতরাতে কে এম বাবরের বাসার বাথরুম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় একটি পাইপগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা প্রতিপক্ষ তাকে ঘায়েল করতে এটা করতে পারে বা অন্য কোন কিছু হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যেহেতু তদন্ত চলছে তাই আপাতত মামলা দায়ের করা হচ্ছে না। তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।