স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র ও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল দুটি—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমানের রাজনীতি : গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি’ বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার দুটি উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু বারবার সেই পথে ছন্দপতন ঘটেছে। প্রথম ছন্দপতন হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম যদি ক্যান্টনমেন্টে না হয়ে থাকে, তাহলে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিল? এ প্রশ্ন তুলতে হবে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, তিনি সম্মুখ দরজা দিয়েই রাজনীতিতে এসেছেন।
ছাত্ররা ভবিষ্যতের নেতা উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, প্রস্তুতি না নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গেলে ভবিষ্যতে মহাসমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, দেরিতে হলেও নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ড. মঈন খান বলেন, তরুণ যুবকেরা, যারা ১৮ বছর বয়সে ভোটের অধিকার পায়, তারা গত ২০০৯ থেকে ২০২৫—দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আজকে তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
মঈন খান আরও বলেন, দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করে যাবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম।