প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান লিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে পাঁজজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় জেরা করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
দুদকের পিপি খান মো. মঈনুল হাসান লিপন বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন, কর সার্কেলের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কর সার্কেলের কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক ও কর সার্কেলের নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় সাক্ষীদের জেরা হয়নি।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠন শুনানির সময়ে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পৃথক মামলাগুলোর একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন, আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ আদালতে তিনটি করে মোট ছয়টি মামলা বিচারের জন্য পাঠানো হয়।
মামলাগুলোতে অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।