বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বদরুদ্দীন উমর ছিলেন এ দেশের স্বাধীন বিবেকের এক প্রতীক’। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তারেক রহমান এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, মরহুম বদরুদ্দীন উমর বারবার রাজরোষে পড়া সত্ত্বেও তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে ছিলেন আপোষহীনভাবে স্থির। কোনো ভীতি বা হুমকি তাঁকে নিবৃত্ত করতে পারেনি তাঁর কর্তব্যকর্ম থেকে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরতন্ত্রকে উপেক্ষা করে তিনি তাঁর স্বাধীন মতামত প্রকাশে কখনোই কুণ্ঠিত হননি। তিনি এদেশে ছিলেন স্বাধীন বিবেকের এক প্রতীক।

উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে বদরুদ্দীন উমরকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

বদরুদ্দীন উমরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, বামপন্থি প্রগতিশীল রাজনীতির পথিকৃৎ, লেখক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমরের জীবনাবসানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও আমি গভীরভাবে মর্মাহত। স্বাধীনচেতা, নির্ভীক কণ্ঠস্বরের এই বুদ্ধিজীবীর এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া জনমনে হতাশার সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সম্মান ও নিদারুণ বেদনাকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি ও সেটিকে প্রতিবাদের ভাষায় মূর্ত করতে পারতেন মরহুম বদরুদ্দীন উমর। ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সব স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের চিন্তা ও লেখনিসহ সক্রিয় তৎপরতা ছিল অবিস্মরণীয়। জাতির নানা ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পর্ব নিয়ে তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ সমূহ এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে পাঠক সমাজের নিকট সমধিক সমাদৃত।