এখন আর হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি চলবে না : হাসনাত আবদুল্লাহ

এখন আর হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি চলবে না উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নেতার পেছনে ঘুরে ঘুরে কখনো নেতা হওয়া যায় না। প্রকৃত নেতৃত্ব আসে যোগ্যতা, পরিশ্রম ও মানুষের ভালোবাসা থেকে।
গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সাইতলা বাগান বাড়িতে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে দেখা যায় এমপি–মন্ত্রীদের অনেকেই অন্যের ছেলেমেয়েদের রাজনীতিতে নামিয়ে প্রটোকল নেয়, অথচ নিজেদের সন্তানদের বিদেশে রেখে উচ্চশিক্ষা ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে। ১৫-২০ বছর ধরে যারা রাজনীতিতে শ্রম দেয়, তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়। আর শেষ বয়সে সেই নেতার ছেলে বা নাতি বিদেশ থেকে ফিরে এসে অটোমেটিক নেতা হয়ে যায়। এই সংস্কৃতি দেশের জন্য অভিশাপ।
বংশগত রাজনীতির এই ধারা পরিবর্তন করা জরুরি উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। মানুষের সেবক হয়ে, জনগণের আস্থা অর্জন করেই নেতা হতে হবে। ‘১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’ এই দিন আমরা ৫ আগস্টেই শেষ করেছি। এখন আর হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি চলবে না। নেতৃত্ব তৈরি হবে নেতার গুণাবলি থেকে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, এনসিপি হলো ইনসাফের পক্ষে একটি দল। ইনসাফের বিপরীতে থেকে কেউ এনসিপির রাজনীতি করতে পারবে না। হাজার হাজার লোক এনে প্রোগ্রাম সফল করলেও যদি বেইনসাফি করা হয়, সেই নেতৃত্ব আমাদের দরকার নেই। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি গ্রাম, মহল্লা ও ইউনিয়নভিত্তিক মানুষ যদি সংঘবদ্ধ হয়, তাহলে অপরাধীরা সাহস পাবে না। অপরাধ করতে শক্তির প্রয়োজন হয়, আর সেই শক্তি অনেক সময় আসে রাজনৈতিক ব্যাকআপ থেকে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে দেখা যায় সেই অপরাধীর সঙ্গে পুলিশের সখ্য রয়েছে। পুলিশেরও দোষ নেই, স্থানীয় এমপির নির্দেশ অমান্য করলে ট্রান্সফারের ভয়ে তারা নীরব থাকে।
এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. আরমান হোসাইন, দেবিদ্বার উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী জামাল মোহাম্মদ কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে হাসনাত উপজেলার বড়কামতা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামে একটি উঠান বৈঠকে অংশ নেন।