‘এডিসি আক্তারুল স্যার বলেন, পিস্তল-চায়না রাইফেলে ফায়ার করে মেরে ফেলো’

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আরও তিনজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম। সাক্ষীর জবানবন্দিতে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চানখারপুলে অবস্থানকালে এডিসি (অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার) আক্তারুল স্যার বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার (গুলি) করে তাদেরকে মেরে ফেলো’।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ জবানবন্দি দেন এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম। এ পর্যন্ত আদালতে মোট ৩৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর পুলিশে যোগদান করি। ২০০২ সালের ১৩ জুলাই থেকে ডিএমপিতে (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কর্মরত আছি। ২০১৮ সালে এসআই (সশস্ত্র) হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হই। আমার বিপি নং ৭৬৯৪০১৩০৯৬। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমার সঙ্গীয় এএসআই মুরাদ, নায়েক জসিম, কনস্টেবল মাহমুদুল, কনস্টেবল মেহেদী, কনস্টেবল নাসিরুল, কনস্টেবল মাহবুবসহ এক প্লাটুন (২০ জন) এবং এসআই হেলাল তার ফোর্সসহ এক প্লাটুন (২০ জন) মোট দুই প্লাটুন, অর্থাৎ ৪০ জন অফিসার ও ফোর্স আমাদের নিজ নিজ নামে অস্ত্র, গুলি, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ইত্যাদি সরঞ্জামাদিসহ পিওএম পুলিশ লাইন মিরপুর থেকে সিসি নং ০৫৩৮ মূলে ভোর ৪টায় রওনা হয়ে সকাল আনুমানিক ৬টার পর জরুরি আইনশৃঙ্খলা ডিউটি করার জন্য শাহবাগ থানায় পৌঁছাই।’
পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জবানবন্দিতে বলেন, “শাহবাগ থানায় উপস্থিত হয়ে জানতে পারি, সকাল আনুমানিক ৫টার সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্যার এবং সকাল আনুমানিক ৬টার সময় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী শাহবাগ থানায় উপস্থিত হয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের ঐদিন আন্দোলন দমনে গুলি করাসহ অন্যান্য নির্দেশনা দিয়ে চলে গেছে। ঐ দিন আন্দোলনকারীদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ছিল।”
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল আনুমানিক ৯টার সময় উক্ত দুই প্লাটুনসহ ডিএমপি থেকে আসা এক প্লাটুন পুলিশ, ১৩ এপিবিএন থেকে আসা এক প্লাটুন পুলিশ এবং রাজারবাগ থেকে আসা এক প্লাটুন নারী পুলিশসহ মোট পাঁচ প্লাটুন (১০০ জন) পুলিশ, রমনা জোনের তৎকালীন এসি ইমরুল স্যার, শাহবাগ থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আরশাদ হোসেন স্যারদের তৎকালীন এডিসি শাহ আলম মোহাম্মাদ আক্তারুল ইসলাম স্যার আইনশৃঙ্খলা ডিউটি সংক্রান্তে ব্রিফ করেন।’
সাক্ষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিফিং শেষে নারী পুলিশ ও ডিএমপি পুলিশের দুই প্লাটুন ব্যতীত ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যার ও কয়েকজনসহ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।’
জবানবন্দিতে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ঐ সময় এডিসি আক্তারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আক্তারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) আরশাদ স্যার, আনুমানিক ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গীয় কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ, নাসিরুলসহ হেঁটে সকাল সাড়ে ১০টা বেলা ১১টার দিকে চানখারপুলে পৌঁছাই। চানখারপুল সংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আক্তারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলিবর্ষণ করা হয় চানখারপুল মোড়ে।’
সাক্ষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করা হয়। ঐ সময় এডিসি আক্তারুল স্যার বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো’। তখন আমিসহ আরও কয়েকজন স্যারের এই অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধ আদেশ পালন না করলে স্যার আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। তিনি আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোরা সরকারের বেতন-রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে নেব’। তথাপিও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আক্তারুল স্যারের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে স্যারের নির্দেশে ও দেখানো-মতে রাস্তায় বসে চায়না রাইফেলে গুলি লোড করে এবং আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে।”
এসআই আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ সময় এডিসি আক্তারুল ইসলাম স্যার এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়না রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়না রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল। পরে জেনেছি তার নাম অজয়। এরপর কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখারপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যুকৃত চায়না রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, উক্তরূপ গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদেরকে ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে।’
‘অতঃপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের ৫-৭ জন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়না রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে শুনতে পেয়ে দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে চানখারপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আক্তারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি’, যোগ করেন আশরাফুল ইসলাম।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “এডিসি আক্তারুল স্যারের নির্দেশে নিজ নিজ নামে ইস্যুকৃত অস্ত্রগুলো শাহবাগ থানার অস্ত্রাগারে জমা দেই। আমার সঙ্গীয় কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম তার নামে ইস্যুকৃত চায়না রাইফেলের ৪০ রাউন্ড গুলি জমা করলে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি—তুমি চানখারপুলে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করার পরেও ৪০ রাউন্ড গুলি কীভাবে জমা করলে? উত্তরে সে জানায়, ‘এডিসি আক্তারুল স্যার আমাকে অতিরিক্ত গুলি সরবরাহ করেছে’। এরপর পোশাক পাল্টে সিভিল ড্রেস পরে এশার নামাজের পরে শাহবাগ থানার পেছন দিয়ে বের হয়ে হেঁটে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিশে মিরপুর পুলিশলাইনে আসি রাত আনুমানিক ১১টায়।”
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই পাঁচটি অভিযোগে তাদের বিচার করা হচ্ছে। অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নেন। আমলে নেওয়া পাঁচ অভিযোগ হলো—
প্রথম অভিযোগ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আমলে নেওয়া অভিযোগের প্রথমটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই চীন থেকে ফিরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করে ছাত্র- জনতার ওপর নির্যাতনের উসকানি দেওয়া হয়। আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন তার অধীনস্থ বাহিনীকে হামলার জন্য সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে নির্দেশ দেন। এতে করে রাজধানীর মিরপুর, আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ি গাজীপুরসহ সারা দেশে নিহতদের জানাজা ও সৎকার করা, হাসপাতালে লাশ হস্তান্তরে বাধা প্রদান করা হয়। এসব কর্মকাণ্ড করে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ
জুলাই- আগস্ট আন্দোলনের সময় সুপিরিয়র কমান্ডার শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) এস এম মাকসুদ কামাল ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসব ফোনকলে আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্র-জনতার ওপর মারণাস্ত্রের ব্যবহার করার কথা বলা হয়। নির্দেশ পেয়ে হেলিকপ্টার থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করা হয়। এসব ফোনের অডিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাহিনীকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দিয়ে প্রায় দেড় ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং ২৫ হাজার মানুষকে আহত করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
তৃতীয় অভিযোগ
১৬ জুলাই রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চারবার পরিবর্তন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আবু সাঈদের সহপাঠীদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে এই হত্যা, তথ্য গোপন ও মিথ্যা মামলা করা হয়। এসবের নির্দেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তিন আসামি।
চতুর্থ অভিযোগ
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় চাঁনখারপুল এলাকায় শহীদ আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে এ ছয়জনকে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পঞ্চম অভিযোগ
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয়। এ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে প্রসিকিউশন।