পাবনার বেড়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে, যা চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক সভায় এই ঘোষণা দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বেড়া উপজেলা সদরের সান্যালপাড়া সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে পাবনা-১ নির্বাচনি এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সভা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বেড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকছেদ আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম দিপু, বণিক সমিতির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, রিকশা-ভ্যান সমিতির সধারণ সম্পাদক, মঈন উদ্দিন খাজা, চতুহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মোল্লাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সভায় আজ রোববার বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সকাল থেকে কোন প্রকার বাস বা অন্য কোন যানবাহন চলছে না। বেড়া নগরবাড়ি ও কাজিরহাট নদীবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বেড়ার একাংশকে পাবনা-১ থেকে বিচ্ছিন্নের পর তা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়াবাসির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন, বাজার ও পাড়া মহল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করা হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই মশাল মিছিলও করা হচ্ছে। সবশেষ স্থল ও জলপথে সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচিতে যাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থলে পথে রাজধানীর সাথে যোগাযোগের একটি মাত্র সড়ক ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক। এটি বন্ধ হলে ঢাকার সাথে পাবনার সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ভোগান্তিতে পড়বেন মানুষ। এছাড়া বেড়ার নগরবাড়ি বন্দর ও বৃশালিখা ঘাটে পুরো উত্তরবঙ্গের জন্য প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার সার, কয়লা ও সিমেন্ট সহ বিভিন্ন মালামাল লোড আনলোড হয়। এ বন্দরগুলো অবরোধের আওতায় থাকায় পণ্য আনা নেওয়া ও খালাসেও জটিলতা তৈরি হবে।
তবে কাজিরহাট ঘাট আমিনপুরের অধীনে থাকায় এ অবরোধ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে। তাই উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।