সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়া দুটি হরিণ উদ্ধার

সুন্দরবন থেকে মোংলার পশুর নদী সাঁতরে লোকালয়ে চলে আসা দুটি হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরে হরিণ দুটি পুনরায় বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের করমজলের ঠিক উল্টো দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের মোংলার সিন্ধুরতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনের করমজলের ঠিক উল্টো দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের মোংলার সিন্ধুরতলা এলাকায় শনিবার সকালে দুটি চিত্রা হরিণ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। চিলা ও বৈদ্যমারী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে অনেক লোকজন দেখে হরিণ দুটি দৌড় শুরু করে। পরে লোকজনের সহায়তায় জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া হরিণ দুটি করমজলের বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরা চিত্রা, মায়া হরিণ। বয়স সাত থেকে আট বছর হবে।
আজাদ কবির আরও বলেন, মূলত বাঘের তাড়া খেয়েই সোয়া দুই কিলোমিটার চওড়া পশুর নদী পার হয়ে হরিণ দুটি লোকালয়ে চলে যায়। হরিণ দুই কারণে আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে যেয়ে থাকে। একটি হলো বাঘের তাড়া খেয়ে আর দ্বিতীয়টি হলো কাটাস মাছি ও দাস মাছির আক্রমণের শিকার হলে। তবে আমি নিশ্চিত এ দুইটি হরিণ বাঘের তাড়া খেয়েই লোকালয়ে চলে গিয়েছিল।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, লোকালয়ের মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। কারণ আগে হরিণ লোকালয়ে গেলে লোকজন লুকিয়ে ও আটকে রাখার চেষ্টা করত। এখন তারা আর সেটি করছে না। তাই সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো থাকবে সুন্দরবন।