শেরপুরে ফায়ার ফাইটার জান্নাতুল নাঈমের দাফন সম্পন্ন

শেরপুরের নকলা উপজেলার লাবা গ্রামের নিজ বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে ফায়ার ফাইটার খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের মরদেহ। এর আগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর নাঈমের মরদেহ নকলায় পৌঁছায়। এরপর নামাজে জানাজা শেষে নাঈমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সন্ধ্যা থেকেই নাঈমের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী। রাত ১০টার পর মরদেহ লাবা গ্রামে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। আবার কেউ আহাজারি করছেন নাঈমের দুই সন্তানকে ঘিরে।
জান্নাতুল নাঈমের চাচাতো ভাই সোহরাব হোসেন জানান, ১০টায় নামাজে জানাজার পর খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে ফায়ার ফাইটার নাঈমকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল দশটার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতুল নাঈম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হন। তার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ফায়ার ফাইটার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।