অর্থের অভাবে থেমে আছে স্কুল শিক্ষার্থী আবিদের ক্যানসার চিকিৎসা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার গারাংগিয়া হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্র মো. আবিদ হাসান, বয়স মাত্র ১৩ বছর। অন্য শিশুদের মতোই আবিদ ছিল হাসিখুশি, চঞ্চল এক কিশোর। স্কুলের সবুজ মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়ানো আর শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা, এইটুকুই ছিল তার জগৎ। কিন্তু ভাগ্য যেন হঠাৎই রুদ্রমূর্তি ধারণ করল। আবিদের শরীরে ধরা পড়েছে মারণ ব্যাধি ভয়ংকর ব্লাড ক্যানসার।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আবিদ সবার বড়। বাবা নুরুল কবির স্থানীয় একটি কাপড়ের দোকানে সামান্য বেতনে কাজ করেন, আর মা রিনা আক্তার ঘর সামলান। এই সীমিত আয়ের সংসারে আবিদের ব্যয়বহুল চিকিৎসার বিশাল বোঝা যেন আকাশ ভেঙে পড়ার শামিল।
আবিদের আজ থাকার কথা ছিল খেলার মাঠে, অথচ তার ঠিকানা এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায়।
হাসপাতালের সাদা চাদরে শুয়ে থাকা আবিদ চোখ বুজলেই যেন স্কুলের বন্ধুদের দেখতে পায়। তার প্রতিটি নিঃশ্বাসে মিশে আছে বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। বারবার সে ফিসফিস করে বলছে—‘আমি আবার স্কুলে ফিরতে চাই। আমি বাঁচতে চাই। আমার কি আর স্কুলে যাওয়া হবে না?’
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এই ফুটফুটে শিশুটিকে বাঁচিয়ে তুলতে ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। অথচ এই মুহূর্তে অসহায় পরিবারটির কাছে এত টাকা জোগাড় করা শুধু অসম্ভব নয়, অকল্পনীয়।
একটি নিরীহ শিশুর জীবনের স্বপ্ন, তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও তার মায়ের বুকফাটা আর্তি যেন শুধু কিছু টাকার অভাবে এভাবে থেমে না যায়। দেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদের কাছে, সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের কাছে আবিদের বাবা-মা তাই দুই হাত জোড় করে সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। আবিদকে বাঁচাতে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :
বিকাশ (পার্সোনাল) : ০১৮৭৪৪২৫৯৭৬, নগদ (পার্সোনাল) : ০১৩২২২১৫৯৬৫, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর : ১৩৯১১২০০৪১৮৯২ (ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, চকবাজার ব্রাঞ্চ, চট্টগ্রাম)
আপনার একটু সহানুভূতিই পারে এই শিশুটির হাসি ফিরিয়ে আনতে, তার জীবন রক্ষা করতে।