‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায়’ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা শিবিরের

আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও অবৈধভাবে আটকের তীব্র নিন্দা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে শিবিরের নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায়’ ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও অবৈধভাবে আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন, সামুদ্রিক সুরক্ষা বিধান ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারির বিবৃতিতে আরও বলেন, অবরুদ্ধ গাজা ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। দুই বছরেরও কম সময়ে দখলদার ইসরায়েল ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে শহীদ করেছে, যার অধিকাংশ শিশু ও নারী। এমন পরিস্থিতিতে ফ্লোটিলার মতো উদ্যোগ মানবতার জন্য আশার প্রদীপ। বিশ্ব সম্প্রদায়ের এমন মানবিক উদ্যোগে ইসরায়েলের এই আগ্রাসন কেবল গাজার জনগণকে সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা নয়, বরং বৈশ্বিক মানবতাকেও চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল।
নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ, ওআইসি ও বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হলো ইসরায়েলকে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা এবং বহরের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও এই ঘটনার তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রকাশ ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া কামনা করেন। বিশেষ করে নৌযানের বহরে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাহায্যকর্মী রুহি এবং বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সকল মানবাধিকারকর্মীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।