‘সুমুদ ফ্লোটিলা’য় ইসরায়েলি বাধা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিন্দা

গাজাগামী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী নৌযানগুলোকে জোরপূর্বক বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলের প্রতি কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বলেন, নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষ ও জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা বহনকারী জাহাজগুলোর প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে ইসরায়েল। খবর আলজাজিরার।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, একটি মানবিক মিশনে বাধা দিয়ে ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারই নয়, বরং বিশ্বের বিবেকের প্রতিও চরম অবজ্ঞা দেখিয়েছে। তার মতে, এই নৌবহরটি সংহতি, সহানুভূতি ও অবরুদ্ধ জনগণের জন্য ত্রাণ পাওয়ার আশার প্রতীক।
আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সব ধরনের ‘বৈধ ও আইনসম্মত উপায়’ ব্যবহার করবে মালয়েশিয়া। বিশেষ করে যেসব বিষয়ে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকাশেক জানিয়েছেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত যে ১৩টি নৌযান আটক করেছে। সেগুলোতে প্রায় ১২ জন মালয়েশীয় নাগরিক ছিলেন।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
এই নৌবহরের প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই ইসরায়েল এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিগত প্রায় দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।