২৮ বারের মতো ভাঙল বেইলি ব্রিজ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত চৌধুরী ঘাট বেইলি ব্রিজটি এ পর্যন্ত ২৮ বারের মতো ভেঙেছে। ব্রিজের পাটাতন ভেঙে স্লিপার নদীতে পড়ে যাওয়ায় জৈনা বাজার টু কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কের সকল ধরনের যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার কল-কারখানার শ্রমিকসহ সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি ব্রিজের উত্তরপাশের প্রবেশ মুখের সবকটি স্টিলের স্লিপার খুলে গেছে, যার মধ্যে একটি স্লিপার মাটিকাটা নদীতে পড়ে যায়। ব্রিজের পাটাতন ভেঙে নিচে পড়ে যাওয়ায় সড়কে শত-শত শ্রমিক পরিবহনের বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় বেইলি ব্রিজের দুটি স্লিপার ভেঙে যায়। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছে। অনেকে ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। এই সড়কে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, ভালুকা এবং হোসেনপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও পোশাক শ্রমিক চলাচল করে।
ফেরদৌস নামের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ব্রিজ কতবার ভাঙল তার সঠিক হিসাব বলা যাবে না। দুবার গাড়ি নদীতে পড়ছে তবুও ব্রিজের কাজ হচ্ছে না। নড়বড়ে ব্রিজটি প্রায় সময় ভেঙে পড়ে। কিছুদিন পরপর শুধু মেরামত আর মাপজোখ– এতেই সীমাবদ্ধ। কি পরিমাণ ভোগান্তি আমাদের, বলে বোঝানো যাবে না।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মাহবুবুল আলম বলেন, ব্রিজটি এর আগে অনেকবার ভেঙেছে। এবার পুরোপুরি ভেঙে গেল। মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী তাওহীদ আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি মেরামত করে স্বাভাবিক যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ব্রিজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে নিরাপত্তার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও সজীব আহমেদ আরও বলেন, নদীতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন থাকলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় নির্মাণ কাজ আটকে আছে।