কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জন, ভক্ত ও পর্যটকের পদচারণায় মুখর সৈকত

বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো পর্যটক আর ভক্তের উপস্থিতিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেল দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। এর আগে রং ছিটিয়ে, আতশবাজি ফুঁটিয়ে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা। বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে নামে দেশি-বিদেশি পর্যটক আর ভক্তদের ঢল। এ জন্য নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো বিসর্জন পর্যবেক্ষণে রাখে পুলিশ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসবের আজ আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ছিল বিজয়া দশমী। দুপুরের পর থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বহনকারী ট্রাকগুলো সমুদ্র সৈকতের দিকে আসতে থাকে। পুরো শহর এবং সৈকতজুড়ে নেওয়া হয় সেনাবাহিনী-র্যাবের সমন্বয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিকেল ৩টার পর থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট এলাকা ভক্ত আর পর্যটকদের পদচারণায় লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
লাবনী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত সনাতন ধর্মবলম্বী আর সৈকতে আগত পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে চলে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান।
আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন শাহীন, বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল প্রমুখ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এই বছর কক্সবাজারে নয়টি উপজেলায় মোট ৩১৮টি মণ্ডপে পূজিত হন দেবী দুর্গা। সদরে ৩১টি, চকরিয়ায় ৬৯টি, কুতুবদিয়ায় ৪৫টিসহ অন্যান্য এলাকায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৬টি ঘটপূজা।