ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে নারী সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে : রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ৫ আগস্টের পর দেশে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নারীদেরকে এ মহান কাজে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নারী সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিটের আয়োজনে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীম।
মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা বারবার দেশকে চুরির দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করেছে। বিশ্বের মাঝে দেশকে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এসব অনাচারের মূল কারণ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিট, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সব থানা ও ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নারী নেত্রী সেমিনারে অংশ নেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক মাওলানা এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুফতি মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় মহিলা উপকমিটির সদস্য আলহাজ শেখ মো. আবু তাহেরসহ অন্যান্যরা।