নৌপরিবহণ উপদেষ্টার সঙ্গে আইএমও’র মহাসচিবের বৈঠক

নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিনগেজ। সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নৌপরিবহণ উপদেষ্টা বৈঠকে বাংলাদেশে টেকসই জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জাহাজ পুনর্ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, শ্রমিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকান অঞ্চলসমূহের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে যা বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টরে প্রশংসিত হয়েছে।
আইএমও মহাসচিব বলেন, ২০২৫ সালের এপ্রিলে আইএমও নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক খসড়া আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কাঠামো আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচিত হবে। খসড়াটি অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য মেরিন এনভাইরনমেন্ট প্রটেকশন কমিটির (এমইপিসি) বিশেষ অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন চান।
নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিপিং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সবসময় বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে। তবে দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে বিস্তারিত মূল্যায়নের পর বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে।
এ সময় নৌপরিবহণ উপদেষ্টা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে (২০২৬-২৭) সি ক্যাটেগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে আইএমও ও এর আওতাভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
আইএমও মহাসচিব বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামুদ্রিক চলাচলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে উল্লেখ করেন। জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানে আইএমও বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও মহাসচিব আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় আরো জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।